উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের পাঁচ পাঁচ বার নির্বাচিত মেম্বার বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুল হক মনু (৪৫) আর নেই। রবিবার দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটের সময় কক্সবাজার একটি ক্লিনিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না………..রাজিউন। মৃত্যুকালে ১ স্ত্রী, ৩ সন্তান, ১ কন্যা সহ অসংখ্য আতœীয়স্বজন রেখে যান। তার আষ্কমিক মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাজার হাজার নারী পুরুষ এক নজর দেখার জন্য মেম্বার মনুর বাড়ীতে ভীড় জমে। তিনি কোটবাজারস্থ মরহুম সলোমান সওদাগর প্রকাশ সোলমান কেরানী ৫ম পুত্র।
বিকেল সাড়ে ৪টায় মরহুম মেম্বার নুরুল হক মনুর বিশাল নামাজের জানাযা খোন্দকারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন, হাফেজ আব্দুর রহমান। জানাযায়, কক্সবাজার জেলা সহ উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সর্বস্থরের শোকাহত মানুষের ঢল নামে। জানাযার পূর্বে মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন উখিয়া টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.এইচ.সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, উখিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উখিয়া বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন, রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ও মরহুমের ছোট ভাই আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদা।
এর আগে উখিয়া উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মরহুম নুরুল হক মনুর পুস্পস্তব প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯ ও সর্বশেষ ২০১৬ সাল অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে একাধারে পাঁচ বার নুুরুল হক মনু রতœাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন। তিনি সর্বজন গ্রহণ যোগ্য ও ন্যায় বিচারক হিসাবে এলাকায় সু-খ্যাতি রয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাতীয়তাবাদীদল (বিএনপি) উখিয়া উপজেলা শাখার সদস্য এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: